আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রথমবার বিমান হামলার কথা স্বীকার করল পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, এ মাসের শুরুতে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি লক্ষ্য করে কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।
আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, তারা (টিটিপি) সেখানে অবস্থান করছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাদের নেতৃত্বও সেখানে আছে। সেই কারণেই আমরা কাবুল এবং আরও কয়েকটি শহরে হামলা চালিয়েছি। পাকিস্তানের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই প্রথম প্রকাশ্যে আফগান ভূখণ্ডে বিমান হামলার বিষয়টি স্বীকার করলেন। -এআরওয়াই নিউজ
খাজা আসিফ জানান, দোহায় এক বৈঠকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। এতে তুরস্ক ও কাতার মধ্যস্থতাকারী বা গ্যারান্টর হিসেবে কাজ করেছে। তাদের ভূমিকা হলো, আফগান ভূখণ্ড যেন পাকিস্তানে হামলার জন্য টিটিপির ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করা। আগামী ২৫ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে এ বিষয়ে পরবর্তী বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি। পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ওই বৈঠকে এ ব্যবস্থার কাঠামো নির্ধারণ করা হবে, কীভাবে আফগানিস্তানে টিটিপির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হবে, সেটিই হবে আলোচনার মূল বিষয়। তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সরাসরি সংঘর্ষে রূপ নিয়েছিল। তবে এখন উভয় দেশই সম্মত যে, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা ছাড়া এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। খাজা আসিফ বলেন, আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, সন্ত্রাসবাদই দুই দেশের মধ্যে প্রধান উত্তেজনার উৎস এবং এর সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। উভয় পক্ষ একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরিতে একমত হয়েছে, যাতে ভবিষ্যৎ সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান বহু বছর ধরে মানবিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি, এখন শান্তি ফিরবে এবং পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক, বাণিজ্য ও ট্রানজিট আবার স্বাভাবিক হবে।