হাঙ্গেরিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে পোল্যান্ড। এমনটি করলে পুতিনের বিরুদ্ধে জারি থাকা আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে তারা বাধ্য হতে পারে বলে ওয়ারশ জানিয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন। ২০২৩ সালে হেগ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেন থেকে কয়েক শ শিশুকে অবৈধভাবে নির্বাসনে পাঠিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছেন। রাশিয়া আদালত হিসেবে আইসিসির বৈধতা স্বীকার করে না এবং পুতিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। -রয়টার্স
রয়টার্স জানিয়েছে, পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লও শিকরস্কি রেডিও রোডজিনাকে বলেছেন, ‘পোল্যান্ডের একটি স্বাধীন আদালত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হেগের আদালতে সোপর্দ করার জন্য এমন একটি বিমানকে আটক করার জন্য সরকারকে আদেশ দেবে না, এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি না।’ আইসিসির সদস্য দেশগুলো পুতিন যদি তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে তবে পরোয়ানা অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য। শিকরস্কি বলেন, ‘আমার ধারণা রাশিয়া এই বিষয়টি সম্পকে জানে। আর তাই এই শীর্ষ বৈঠক যদি হয় তাহলে বিমানটি ভিন্ন কোনো পথ ব্যবহার করবে।’ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবান রাশিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তিনি বলেছেন, শীর্ষ বৈঠকের জন্য পুতিন তাদের দেশে প্রবেশ করতে পারবেন এবং বৈঠক শেষে দেশে ফিরে যেতে পারবেন, এটি নিশ্চিত করা হবে। ইউক্রেনের ওপর দিয়ে ভ্রমণ এড়াতে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত অন্তত একটি দেশের আকাশপথ ব্যবহার করে হাঙ্গেরিতে যেতে হবে। ইইউভুক্ত সব দেশ আইসিসির সদস্য। তবে হাঙ্গেরি আইসিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেইনে আক্রমণ করার পর থেকে নেটো জোটের সদস্য পোল্যান্ড কিইভের কট্টর সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম হয়ে আছে।