নির্বাচনি প্রচারের জন্য লিবিয়া থেকে অর্থ সংগ্রহের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির কারাভোগ শুরু হচ্ছে। সাজাভোগ করতে গতকাল তিনি জেলে পৌঁছেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সারকোজি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি সহযোগী নেতা ফিলিপ পেতাঁর পর প্রথম সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কারাভোগ শুরু করছেন সারকোজি।
বিবিসি জানায়, সারকোজি কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। তাকে লা সাঁতে কারাগারে একাকী নির্জনে সেলে রাখা হবে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সারকোজিকে নির্বাচন করার জন্য অর্থ দিয়েছিলেন লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। যদিও সারকোজি নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলেই দাবি করে এসেছেন। গতকাল জেলে যাওয়ার সময়ও সারকোজি এক্সে পোস্ট করা বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাজার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।-রয়টার্স
তিনি লেখেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই। সত্যের জয় হবে। তবে এর জন্য মূল্য কতটা চড়া হবে। আমি ফরাসি জনগণকে বলছি, তারা আজ সকালে সাবেক এক ফরাসি প্রেসিডেন্টকে জেলে ভরছে না, একজন নির্দোষ মানুষকে ভরছে।’ গতকাল সকালে কারাগারে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন সারকোজি। এ সময় বাইরে হাজারো সমর্থক তাকে ঘিরে, নিকোলা, নিকোলা বলে স্লোগান দেয়। রাস্তায় পুলিশের কড়া পাহারা এবং জেলের গেটে মানুষজনের ভিড়ের মধ্য দিয়ে সারকোজিকে গাড়িতে করে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলে ঢোকার কিছুক্ষণ পরই সারকোজির আইনজীবী জানান, তার মুক্তির জন্য আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তার জেলে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই বলে জানান তার আইনজীবী। সারকোজিকে লা সান্তের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হবে। প্রতিটি সেলের আয়তন ৯ থেকে ১১ বর্গমিটার এবং তাতে বাথরুম, গোসলখানা এবং ডেস্ক রয়েছে। সারকোজির জন্য থাকবে ছোট্ট টিভি যার জন্য ১৪ ইউরো মাসিক ফি দিতে হবে এবং একটি বৈদ্যুতিক উনুন ও ছোট ফ্রিজ ব্যবহারেরও সুযোগ থাকবে। দিনে মাত্র এক ঘণ্টা ব্যায়ম করার সুযোগ পাবেন।