দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আলোচনা কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। দুই দেশের প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় দফায় ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে গতকাল প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উল্টো দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। দুই সূত্র রয়টার্সকে জানান, দুই দেশের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি একটি ধাক্কা।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দুই সপ্তাহ আগে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সময় পাকিস্তান আফগানদের রাজধানী কাবুলে হামলা চালায়। এরপর আফগান তালেবান সেনারা সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাদের লক্ষ করে ব্যাপক হামলা চালায়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তীব্র সংঘর্ষ। নতুন আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘকালীন শান্তিচুক্তিতে দুই দেশ পৌঁছাবে এমন ধারণা করা হলেও তা হয়নি।
সংঘর্ষের মধ্যে ১৯ অক্টোবর কাতারের রাজধানী দোহাতে দুই দেশ আলোচনায় বসে। তখন তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ইস্তাম্বুলে কোনো ঐক্যে পৌঁছাতে পারেনি তারা। এজন্য একে অন্যকে দোষারোপ করেছে দুই দেশ।
পাকিস্তানের এক সূত্র জানান, তাঁরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) কার্যক্রম ঠেকাতে আফগানিস্তানকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আফগান তালেবান সরকার এতে অসম্মতি জানিয়েছে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের এক সূত্র জানান, দুই দেশের মধ্যে এ ইস্যু নিয়ে ‘উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়’ হয়েছে। তিনি বলেছেন, কাবুল জানিয়েছে যে টিটিপির ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আফগান সরকারের সঙ্গে রয়টার্স এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, সীমান্তের ওই পারে টিটিপির সন্ত্রাসীরা নিজেদের সংগঠিত করার কাজ করে। এতে তালেবান সরকার মদত দেয়। কিন্তু তালেবান পাকিস্তানের এ দাবি সব সময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে। -রয়টার্স