ইরানের রাজধানী তেহরানে শীতকালে সাধারণত তুষারপাত ঘটে। তবে এ বছর তা ঘটেনি, পর্বতচূড়াগুলো শুকনো হয়ে আছে। অন্য বছর দেশের অর্ধেক প্রদেশে কিছু না কিছু বৃষ্টি হয়। তবে এ বছর কয়েক মাস অনেক প্রদেশে এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে চলতি বছর রাজধানীতে শতাব্দীর সর্বনিম্ন বৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্দশা কাটাতে তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশেষ প্রার্থনা করেছে। শুক্রবার তেহরানের উত্তরাংশের ইমামজাদেহ সালেহ মসজিদে শত শত মানুষ বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনায় মিলিত হয়। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করেছিলেন, শীতের আগেই বৃষ্টি না হলে তেহরানকে স্থানান্তর করতে হতে পারে। যদিও তিনি বিস্তারিত কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি। পেজেশকিয়ান বলেন, ‘পানির ব্যবহার সীমিত করার পরেও যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে পানি একেবারেই শেষ হয়ে যাবে।’ পরে সরকার জানায়, পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় পেজেশকিয়ান কেবল বাসিন্দাদের সতর্ক করতে চেয়েছিলেন। এটি কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নয়। ইরান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেহরানের ১০ মিলিয়ন মানুষের জন্য পানি সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে।
বছরের এমন সময় ইরানের প্রধান বাঁধগুলোতে সাধারণত আংশিক বা সম্পূর্ণ পানি থাকে। সেগুলোর একটির পানি ইতোমধ্যে শেষ এবং অন্যটির মাত্র ৮ শতাংশ আছে। দেশের বাকি অংশের পরিস্থিতিও তেমন ভালো নয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এবার ইরানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ১৫২ মিলিমিটার, যা বিগত ৫৭ বছরের গড়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। এদিকে ইরানের উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি হরমুজ প্রণালী থেকে তেলবাহী একটি বাণিজ্যিক ট্যাংকার আটক করেছে দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। -এএফপি