ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির। সেখানে মেয়েকে নিয়ে তিনবার পালানোয় প্রেমিককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বাবার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, পাড়ায় ঢুকলে খুন করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল মেয়ের প্রেমিককে। কিন্তু প্রেমিক সে হুমকি তোয়াক্কা না করায় পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রমিকার বাবা ক্ষুদিরাম পালের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার হুগলির চুঁচুড়ার ঝিঙেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁজছে। মৃত ওই যুবকের নাম রোহিত রাম (২০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালীতলার বাসিন্দা রোহিতের সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঝিঙেপাড়া এলাকার বাসিন্দা এক কিশোরীর। রোহিত ঝিঙেপাড়ারই এক মুদি দোকানে কাজ করত। সেই সূত্রেই মেয়েটির সাথে পরিচয় রোহিতের। যদিও এই সম্পর্কের বিষয়টি মেয়েটির পরিবার মানতে পারেনি।
স্থানীয়দের দাবি, রোহিতের সঙ্গে তিনবার ওই কিশোরী পালিয়েছিল। তিনবারই পুলিশের সাহায্যে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনে তার পরিবার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই বিহারের সমস্তিপুর থেকে শেষবার ফিরিয়ে আনা হয়। তারপরেই রোহিতকে ঝিঙেপাড়ায় ঢুকতে নিষেধ করেছিল কিশোরীর বাবা। হুমকি দিয়েছিল, পাড়ায় ঢুকলে খুন করে ফেলা হবে রোহিতকে।
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিকার বাবা-মায়ের শাস্তির দাবি জানিয়েছে রোহিতের পরিবারের সদস্যরা। রোহিতের মা ফুলকুমারী রাম ওই নাবালিকার সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্কের কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন,’ওই পরিবার তাদের মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই ছেলেটাকে মেরেই ফেলল! আমরা ছেলেকে মেয়েটির সঙ্গে মিশতে নিষেধ করতাম। কিন্তু ও শুনত না।’
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ঝিঙেপাড়ার একটি আটা কারখানায় কাজ করছিল রোহিত। তখন রাত প্রায় ৯টা। ওই যুবককে সেখানে দেখে হঠাৎ তার ওপর বাঁশ ও কাটারি নিয়ে হামলা করেন কিশোরীর বাবা। সাথে ছিল কিশোরীর মাও।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক