শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মুলতবি হয়ে গেল ফেলানী হত্যার বিচার

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় বিএসএফের আদালতে শুরু হওয়া বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার মুলতবি হয়ে গেছে। ১৭ নভেম্বর থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ওই জেলার সোনারিতে ১৮১ নম্বর বিএসএফের কেন্দ্রীয় ব্যাটালিয়নের বিশেষ আদালতে বিচার ট্রাইব্যুনাল বসে। সাক্ষ্য দিতে বাংলাদেশ থেকে আসেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন ও কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর হেমায়েতুল ইসলাম। ওইদিনই আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবি জানান। এর পর দিনই দেশে ফেরত যান নুরুল ইসলামসহ প্রতিনিধি দলটি। এর পরই আদালত মুলতবি হয়ে যায়। গতকাল বিএসএফ ডিআইজি (কোচবিহার সেক্টর) ডি এস সান্ধ্যাকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ মামলার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। আদালত যখন রায় দেবেন তখন গণমাধ্যমকে জানানো হবে’। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘১৭ নভেম্বর এর পুনর্বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের পর ফেলানীর বাবা নিজ দেশে ফেরত যান’। তিনি আরও বলেন, ‘আদালত মুলতবি হয়ে যাওয়ায় এ মুহূর্তে ফেলানীর বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে’। তবে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে মুলতবির কারণ সম্পর্কে তিনি মুখ খুলতে চাননি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করেন বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক সদস্য। বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর পর ফেলানীর লাশ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। এরপর দফায় দফায় পতাকা বৈঠকের পর ফেলানীর লাশ ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। ঝুলে থাকা দেহের ছবি সে সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হলে এর তীব্র সমালোচনা হয়।
 

সর্বশেষ খবর