বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঘুমন্ত মা-মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঘুমন্ত মা-মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফরাসপুর গ্রামে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে তাসলিমা খাতুন (৪০) ও তার দেড় বছর বয়সী মেয়ে তাসমিয়াকে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন তাসলিমা খাতুনের স্বামী নজরুল ইসলাম ওরফে চাঁদ আলী এবং অপর মেয়ে ঊর্মি খাতুন (২০)। তাদের দুজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদ আলীর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদিকে মা-মেয়েকে মর্মান্তিকভাবে পুড়িয়ে হত্যার খবর পেয়ে গতকাল সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন মোল্লাহ ও কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা আসামিদের গ্রেফতার করে হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার খেয়ে নজরুল ইসলামসহ পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। সোমবার দিবাগত ২টার দিকে কে বা কারা তার ঘরে পাটবিহীন জানালা দিয়ে পেট্রল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিমিষেই খাটে ঘুমিয়ে থাকা তাসলিমা খাতুন আর তার বুকে ঘুমিয়ে থাকা শিশু তাসমিয়ার শরীরে আগুন ধরে যায়। তাদের চিৎকারে পাশে ঘুমিয়ে থাকা বড় মেয়ে ঊর্মি খাতুন জেগে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেও সামান্য দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে মা ও মেয়েকে দ্রুত কালীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভোররাতেই তাদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে ঢাকায় নেওয়ার সময় পথে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছানোর পর মা-মেয়ের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ নজরুল ইসলামের ভাই সোহেল আলী জানান, দগ্ধ পরিবারের বড় মেয়ে ঊর্মি খাতুনের সঙ্গে চার বছর আগে যশোর লেবুতলা ইউনিয়নের আগ্রাইল গ্রামের মৃত বাবুল হোসেনের ছেলে কামাল হোসেনের বিয়ে হয়। ঊর্মিকে নিয়ে লেদমিস্ত্রি কামাল ঢাকায় থাকতেন। নানা কারণে তাদের মধ্যে সম্পর্কে চির ধরে। ঈদুল আজহার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।    

সর্বশেষ খবর