ফরিদপুরের সালথায় লোক ভাড়া করে প্রতিপক্ষের ৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সম্প্রতি আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে উজ্জল মোল্যার সঙ্গে তার ভাই ফারুক মোল্যার বিরোধ হয়। এর জেরে উজ্জলের ছেলেকে জুতা দিয়ে পেটান ফারুক। উজ্জল স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফরহাদের সমর্থক আর ফারুক জালাল মাতুব্বরের সমর্থক। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যেই বিএনপি নেতা ও সালথা সরকারি কলেজের প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল যুবলীগ নেতা ফরহাদকে সমর্থন করেন। শাখাওয়াত সহস্রাধিক লোক ভাড়ায় এনে জালাল মাতুব্বরের সমর্থকদের ৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট করেন। এ সময় আবদুল হাই নামে এক ব্যক্তির একতলা বিল্ডিংয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলার সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত মান্নান মাতুব্বর বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না। তবে ২০১৪ সালে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ আমার বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে যুবলীগ নেতা ফরহাদ ও তার সমর্থকরা আমার বাড়িতে কয়েকবার হামলা চালিয়ে একাধিক গরু নিয়ে গেছে। গতকাল কোনো কারণ ছাড়াই প্রভাষক শাখাওয়াত ও যুবলীগ নেতা ফরহাদ শত শত লোক ভাড়ায় এনে আমারসহ ৪০টি বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা আগুন ধরিয়ে দেয় ও লুটতারাজ করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’ এ বিষয়ে শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল বলেন, হামলা হয়েছে পাশের গ্রামে। আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে নান্নু মাতুব্বর ও জালাল মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির জেরে ওই হামলা হয়েছে। হামলার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই।’ সালথা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।