মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে ট্রেনে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি আসার পথে চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই সন্তান প্রসব করলেন এক কর্মজীবী নারী। পরে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে নেমে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এখন মা ও সন্তান দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢাকা থেকে রেলরুটে দিনাজপুর হয়ে ঠাকুরগাঁও আসার পথে আন্তনগর একতা এক্সপ্রেসে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন রিনা বেগম (২৫) নামে ওই নারী। রিনা বেগম ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের সেলিম আহম্মেদের স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দুজনই গার্মেন্টশ্রমিক। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকা-দিনাজপুর রেলওয়ে রুটের ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর রেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে চলন্ত ট্রেনে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। পরে ট্রেনটি দিনাজপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। সেখান থেকে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে মা ও নবজাতককে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা যায়, মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে একতা ট্রেনে ননদকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি ঠাকারগাঁওয়ের পীরগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হন রিনা বেগম। ট্রেনটি ফুলবাড়ী স্টেশন অতিক্রম করে পার্বতীপুর স্টেশনে প্রবেশের আগেই রিনা বেগমের প্রসবব্যথা শুরু হয়। এ সময় ওই বগিতে থাকা পুরুষ যাত্রীরা বের হয়ে যান। সেখানে নারী যাত্রীদের সহযোগিতায় একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই মা। একতা ট্রেনের কন্ডাক্টর গার্ড তারেক মাহবুব জানান, সন্তান প্রসবের পর জানতে পারি। পরে পার্বতীপুর স্টেশনে পৌঁছলে তাকে রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে চাইলে ওই প্রসূতি মা রাজি হননি। পরে দিনাজপুর স্টেশনের সুপার এ বি এম জিয়াউর রহমানকে খবর দিই। তিনি খবর পেয়েই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে রাখেন। দিনাজপুর রেল স্টেশনের সুপার বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে স্টেশনে আসেন। সেই অ্যাম্বুলেন্সে প্রসূতি মা ও নবজাতককে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, মা সুস্থ থাকলেও শিশুটি নির্ধারিত সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। সাত মাসে জন্ম নেয় এই শিশুটি। সাত মাসের জন্ম নেওয়া নবজাতকটি শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।