বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিজার হত্যায় ২৩ দিনেও গ্রেফতার নেই চলছে যাচাই-বাছাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের ২৩ দিনেও খুনিরা গ্রেফতার হয়নি। শেষ হয়নি জড়িত সন্দেহভাজনদের সম্পৃক্ততার যাচাই-বাছাই। তবে তদন্তে হিসাব মেলাতে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানা গেছে। যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছেন, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র শনাক্ত হয়েছে। তবে তদন্তে অগ্রগতি হলেও কোনো খুনি গ্রেফতার না  হওয়ায় অপরাধ বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সূত্র মতে, তাভেলাকে হত্যার পর আসামিরা সম্ভাব্য যেসব সড়ক দিয়ে পালাতে পারে সেসব সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঘটনার দিন বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী, নিকেতন, নতুন বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় তিনজন আরোহী নিয়ে যেসব মোটরসাইকেল চলাচল করেছে সেগুলো ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। বনানী-নিকেতন এলাকার অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অনুমোদিত মোটরসাইকেলের নম্বরগুলো উঠে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা নম্বরগুলো সংগ্রহ করে সেসব মোটরসাইকেলের মালিকদের ঠিকানা জানতে বিআরটিএর সহযোগিতা চেয়েছে। এরই মধ্যে অনেক তথ্য পেয়ে অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের ফুটপাথে সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, দুই তরুণ গুলি চালিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাভেলা খুনে পুলিশ তিন যুবককে শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে একজনের নাম রাসেল। অন্যজন রুবেল। এদের একজন মোবাইল ফোনের ব্যালান্স রিচার্জ ব্যবসায়ী। তারা বাড্ডার বাসিন্দা এবং স্থানীয় বিএনপি কর্মী। রুবেল মিল্কী হত্যা মামলার আসামি চঞ্চলের ভাগ্নে। চঞ্চলের অস্ত্রশস্ত্র রুবেলের কাছেই থাকে বলে পুলিশ জানতে পেয়েছে। চঞ্চল এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাভেলা খুনের আগের দিন রুবেল অপরিচিত কয়েক যুবককে নিয়ে বাড্ডা এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছেন। রুবেলের একটি মোটরসাইকেলও রয়েছে। তাভেলা খুনে রুবেলের মোটরসাইকেল ব্যবহার হয়েছে কিনা তার খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে গুলশান ও বাড্ডা থানায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর