মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিলেটে আট কোটি টাকা মূল্যের শুল্ক ফাঁকির গাড়ি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে আট কোটি টাকা মূল্যের শুল্ক ফাঁকির গাড়ি আটক

সিলেট ও মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিলাসবহুল তিনটি গাড়ি আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। গত এক মাসে এ গাড়ি তিনটি আটক করা হয়েছে বলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড.  মইনুল খান। এ নিয়ে সিলেটে যুক্তরাজ্য থেকে কারনেট সুবিধায় আনা শুল্ক ফাঁকির সাতটি গাড়ি জব্দ করা হলো। যার মূল্য আট কোটি টাকা বলে দাবি করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সদরের শ্রীমঙ্গল রোডের শাহ মোস্তফা মটরস ওয়ার্কশপে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের একটি পাজারো জিপ আটক করা হয়। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে গাড়িটি চালানো হচ্ছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার জেলা সদরের পতন গ্রামে অভিযান চালান শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই গ্রামের সাজ্জাদুর রহমানের বাড়ি থেকে আটক করা হয় ‘নিশান ৩০০ ডেজ এক্স’ ব্র্যান্ডের একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট কার। অভিযানকালে সাজ্জাদুর রহমান গাড়ির সঠিক কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এদিকে গত ২ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর লন্ডনি রোডের ১২৮ নম্বর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ‘জাগুয়ার এস টাইপ’ ব্র্যান্ডের একটি প্রাইভেট কার। গাড়ির মালিক আশফাকুর রহমান কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় সেটি আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে আনা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা গাড়ির বিরুদ্ধে সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। যাদের গাড়ি আটক করা হয়েছে বা যারা এখনো শুল্ক ফাঁকির গাড়ি ব্যবহার করছেন তারা শুল্ক পরিশোধ করে তাদের গাড়ি বৈধ করতে পারবেন। এতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। তবে গাড়ির মালিকরা শুল্ক পরিশোধে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা দেশে আসার সময় কারনেট সুবিধার মাধ্যমে শুল্ক ছাড়াই গাড়ি নিয়ে আসেন। ছয় মাসের মধ্যে গাড়িগুলো যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার আইন থাকলেও তারা গাড়িগুলো দেশে রেখে যান। পরে বিআরটিএ’র অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জাল কাগজপত্র দিয়ে তারা গাড়িগুলোর ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। প্রায় এক বছর ধরে শুল্ক ফাঁকির এসব গাড়ির বিরুদ্ধে সিলেটে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে শুল্ক গোয়েন্দারা।

সর্বশেষ খবর