শিরোনাম
শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

ফুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ফুল চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন শতাধিক যুবক। যুবকদের এখন প্রধান পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফুল চাষ।

বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার চমরগাছা গ্রামের মোন্তেজার রহমান জানান, ফুল চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এ কারণে ফুল চাষ করা হচ্ছে। ৫০ শতক জমিতে এবার ফুলের চাষ করেছেন। তার ওই জমি থেকে এবার প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করবেন বলে তিনি আশা করছেন। একই গ্রামের নূরে আলম শিলু তার ২০ শতক জমিতে গ্লাডিওলাস, রজনী গন্ধা ও গাঁদা ফুলের চাষ করেছেন। একইভাবে সুজাইতপুর গ্রামের শাকিলুজ্জামান তার ৩০ শতক জমিতে গত কয়েক বছর ধরে ফুল চাষ করে আয় শুরু করেছেন। সে আয় দিয়ে নিজের সংসার পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া বামুনিয়া ও নগর পাড়ার অনেক কৃষক ও বেকার যুবক ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।  কৃষি বিভাগ ও কৃষি কর্মকর্তারা তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ফুলচাষিদের গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা ও গাঁদা ফুলের চাষ বেশি করতে দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ফুল বিক্রেতারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে ভ্যান যোগে ফুলের চারা ও ফুল বিক্রি করেন।

সোনাতলা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের তুহিন মিয়া (২৫) সুখানপুকুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মূল ফটকে ফুল বিক্রিকালে তুহিন জানান, তাদের অভাবী সংসারে ১০-১১ বছর আগে তার পিতার অকাল মৃত্যু ঘটে। সেই থেকে সংসারের হাল ধরে সে। পরিবারে মা ও ছোট দুই বোন। জেসমিন ও জনি। ওরা দুজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। বাড়ির ২-৩ শতক জমি ছাড়া জায়গা জমি নেই তার। সারাবছর ফুল বিক্রি করে সংসার চলে। ফুলচাষিরা জানান, ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। তাই দিন দিন সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা অন্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালাহ উদ্দিন সরদার জানান, উপজেলায় ফুল চাষের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়ে থাকে। কৃষি অফিস থেকে ফুল চাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক ফুলের বীজ বপনের তিন মাসের মধ্যে ফুল বিক্রি করতে পারেন। ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম লাভ বেশি। তাই দিন দিন কৃষকেরা অন্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। উপজেলার পাঁচটি গ্রামে ব্যাপক আকারে ফুল চাষ হয়ে থাকে। ওই পাঁচ গ্রামের দেখাদেখি অন্যান্য গ্রামেও ফুলচাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর