শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

উচ্চ ফলনশীল ধানের বাম্পার ফলন

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

উচ্চ ফলনশীল ধানের বাম্পার ফলন

অল্প সময়ে অধিক ফলনের বিনা-১৭ আগাম উচ্চ ফলনশীল আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ ধানে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। আবার বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। উচ্চ ফলনে কৃষকের মুখে হাসি দেখে আরও অনেকে এ ধান চাষে এগিয়ে আসবে। দিনাজপুরে এবারের বন্যায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমির ধানের চারা নষ্ট হয়। তবে আগাম জাতের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা বলছে বন্যার ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউপির জগদল গ্রামের উদ্যোক্তা কৃষক মোস্তফা কামালের ২.০৫ একর জমিতে বিনা-১৭ উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান কাটা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, খামারবাড়ী, ঢাকার  উপ-পরিচালক (সার্ভিলেন্স অ্যান্ড ফর কাস্টিং) জাকিয়া বেগম।

১০ অক্টোবর বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এ মাঠ দিবসে এ ধান কাটা উদ্বোধন করা হয়। কৃষি অফিস জানায়, স্বল্প সময়ে এ ধরনের আগাম ধান কর্তনের ফলে বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রবণতা তা দ্রুতই কমিয়ে আনবে। তাছাড়া কর্তনকৃত এসব জমিতে আগাম রবি ফসল চাষ করার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আগাম চাষ ও কর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষাসহ এক জমিতে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উত্পাদন সম্ভব। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বীরগঞ্জের জগদল গ্রামে কৃষক মোস্তফা কামালের ২.০৫ হেক্টর জমিতে বিনা-১৭ উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদ করা হয়। জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল রোপা আমনের জাত চাষ করা হচ্ছে, তার জীবনকাল ১২০ দিন অর্থাৎ বীজ বপন থেকে কর্তন পর্যন্ত এ সময় লাগে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বীজ বপন করে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ নাগাদ ধান ঘরে তোলা যায়।

এ উচ্চ ফলনশীল জাত চাষ করে কৃষকরা হেক্টরে ৩.৪-৩.৯ টন (চাল) পর্যন্ত ফলন পাচ্ছেন। আর ধান পাচ্ছেন হেক্টর প্রতি-৫.৮৭ মে.টন। এ উপজেলায় ১২-১৩ একর জমিতে এই জাতের ধান চাষ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর