শনিবার, ২ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ভুল চিকিৎসার শিকার শিশু জ্যোতি

তিনবার অপারেশন!

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে বর্তমানে দুঃসহ জীবনযাপন করছে সাড়ে তিন বছরের শিশু জ্যোতি। জীবনের শুরুতেই ছোট্ট শিশুটি ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নয় দিন বয়স থেকে সাড়ে তিন বছর বয়স পর্যন্ত তিনবার অপারেশন করে শিশুটিকে মৃত্যুর মুখোমুখি ঠেলে দিয়েছেন এক চিকিৎসক— এমন অভিযোগ জ্যোতির পরিবারের।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কাউলিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ মিয়ার মেয়ে জ্যোতি। জন্মের সাত দিনের মাথায় পেটে সমস্যার কারণে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ সি পাল নয় দিন বয়সে জ্যোতিকে অপারেশন করেন। কিছুদিন পর ডা. এ সি পালের কাছে এলে তিনি আবারও অপারেশন করার কথা জানান। জ্যোতির দুই বছর বয়সে পুনরায় দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন এ সি পাল। জ্যোতির কোনো শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় এ সি পালের কাছে আনা হলে তিনি আবারও অপারেশন করার কথা বলেন। মাস দুয়েক আগে তৃতীয়বারের মতো জ্যোতিকে অপারেশন করা হয়। এর পরও সুস্থ না হওয়ায় ডা. এ সি পাল ঢাকার শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন জ্যোতিকে। সেখানকার চিকিৎসক ডা. আমিনুর রশিদ ও ডা. আজিজ জ্যোতিকে দেখে বলেন, ‘ফরিদপুরে যে তিনবার অপারেশন করা হয়েছে তা সঠিক হয়নি। পুনরায় অপারেশন করতে হবে।’ শিশু জ্যোতির বাবা জাহিদ মিয়া বলেন, ‘জ্যোতির বয়স যখন সাত দিন তখন ওর প্রস্রব-পায়খানা ঠিকমতো না হওয়ায় ডা. এ সি পালের শরণাপন্ন হই। তার পরামর্শমতো প্রায় সাড়ে তিন বছর তার কাছে মেয়ের চিকিৎসা করাই। এর মধ্যে তিনি তিনবার জ্যোতিকে অপারেশন করেন।’

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ সি পাল বলেন, ‘কোনো ডাক্তারই চান না চিকিৎসা দেওয়ার পর রোগী অসুস্থ থাকুক। ডাক্তারের চিকিৎসায় ভুল হয় না। জ্যোতির ক্ষেত্রেও ভুল অপারেশন বা চিকিৎসা করা হয়নি। সঠিক অপারেশন করেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর