পাবনায় পদ্মা নদীর শাখায় মিঠা পানির একটি খালে কুমির আটকে রয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এটি ভারত থেকে ভেসে এসেছে। কারণ প্রায় ৬০ বছর আগে এ ধরনের কুমির বাংলাদেশের নদী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। খবর : বিবিসির। পাবনা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদী শুকিয়ে যাওয়ার পর চরের মাঝে তৈরি হওয়া একটি হ্রদের মতো স্থানে আটকে রয়েছে কুমিরটি। সপ্তাহখানেক আগে স্থানীয় এক বাসিন্দা মাছ ধরতে গিয়ে প্রথম কুমিরটি দেখতে পান। এরপর থেকেই ভয়ে আর কেউ ওই খালে মাছ ধরতে যাচ্ছেন না। কুমিরটিকে নিয়ে বিপদে পড়েছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, চর কোমরপুর নামের ওই জায়গাটি পদ্মা নদীর একটি অংশ। কিছুদিন আগে বর্ষার সময় সেখানে অনেক পানি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি পানি শুকিয়ে দুই পাশে চর পড়ে মাঝখানে একটি গভীর হ্রদের মতো তৈরি হয়েছে। সেখানেই রয়েছে এই কুমিরটি। এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পদ্মা নদীর চরে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ কুমিরটিকে মাথা তুলতে দেখি। এরপর আমি এসে সবাইকে খবর দেই। এরপর থেকে ভয়ে সেখানে কেউ মাছ ধরতে যাচ্ছেন না বা নদীর পাড়ে গরু-ছাগল চরাতেও যেতে পারছেন না। কুমিরটির খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির বলেন, ‘কুমিরটি যেখানে আছে, সেটি তার জন্য নিরাপদ। কারণ সেখানে গভীর পানি আছে, আর মাছও রয়েছে। জায়গাটি ঘনবসতি এলাকা নয়। যদি এলাকার লোকজন সহায়তা করে, তাহলে এটি ওখানেই থাকতে পারে। এটাকে উদ্ধার করে খাঁচায় বন্দী করার প্রয়োজন পড়বে না।’ বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এটি মিঠা পানির কুমির। বর্ষার সময় পদ্মা নদীতে ভারত থেকে ভেসে এসে থাকতে পারে।’