মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু উদ্বোধনের তারিখ। এ সেতু উদ্বোধন করা হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে পুরাতন সেতুর। সময় লাগবে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেতুটির উদ্বোধন হলেও সিলেটের সঙ্গে ঢাকায় প্রবেশ করতে ব্যবহার করতে হবে উড়াল সড়ক। তবে এ উড়াল সড়ক নির্মাণ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। উড়াল সড়ক নির্মাণ কাজের পূর্বেই মূল সেতু উদ্বোধন করা হবে, নাকি উড়াল সড়ক নির্মাণের পর- তার অনুমোদনের জন্য প্রকল্প পরিচালক সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ প্রকল্পের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম। তিনি বলেন, সেতুর পুরোপুরি সুফল পেতে সেতুর সঙ্গে সিলেটের সড়কের আন্তসংযোগ (উড়াল সড়কের মাধ্যমে সেতুর সঙ্গে সিলেট সড়কের) প্রয়োজন। ইন্টার সেকশনের কাজ শেষ না হলে এ সেতু নির্মাণের পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে না। সেতুর সঙ্গে সড়কের আন্তসংযোগের কাজ হতে আরও ৬ মাস সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের দিকে আসতে কোনো সমস্যা নেই। সেতুর নিচ দিয়ে ইউটার্ন করে সিলেটে প্রবেশের জন্য রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। তবে সিলেট থেকে সেতু দিয়ে ঢাকার দিকে প্রবেশ করতে উড়াল সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। সেতু এবং অ্যাপ্রোচের কাজ প্রায় শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে কাঁচপুর ২য় সেতুর উদ্বোধনের তারিখ। মন্ত্রণালয় যেভাবে সিদ্ধান্ত দিবে, আমরা সেভাবেই কাজ করব। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে এ সেতুর কাজ শুরু হয়। সেতুটির পশ্চিম পাশর্^ সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক-৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবং পূর্বপাশ সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলক্ষ্যা নদীতে ৫টি পিলারের ওপর নির্মিত নতুন এই সেতুটি স্টিলের গার্ডারের ওপর কংক্রিটের ঢালাইয়ের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। ১০০ বছরের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করে সেতুুটির নির্মাণ কাজ করেন জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফআই ও আইএইচআই। ১ হাজার ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর মোট ব্যয়ের ৭৫ ভাগ অর্থ দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-জাইকা। আর ২৫ ভাগ অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশ সরকার। ৪ লেনের নতুন এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৯৭ দশমিক ৫ মিটার। প্রস্থ ১৮ দশমিক ৩ মিটার। এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পূর্বাঞ্চলের ১৮ জেলার ৩৩টি প্রধান রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। তাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঁচপুর ২য় সেতুটি নির্মাণের নির্দেশ দেন। এ সেতুটি চালু হলে চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য পরিবহনে সহজ হবে এবং এতে করে দেশের অর্থনীতির চাকা আরও সচল হওয়ার পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের পূর্বাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) প্রশাসন মোল্লা তাসলিম হোসেন বলেন, কাঁচপুর ১ম সেতুটি দুই লেন হওয়ায় এবং যানবাহনের চাপ পর্যায়ক্রমিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায় এ মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকত। এ যানজট নিরসনে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের হিমশিম খেতে হতো। এ সেতুটির উদ্বোধন হলে এ মহাসড়কে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।
শিরোনাম
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
- নবীনগরে কার্যত্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার
- একযুগের বেশি পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের কর্মবিরতি
- আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের ৪৫তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- বিইউবিটিতে ‘জব হান্টিং ২.০’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য করণীয় সব কিছুই করছে ইসি : আনোয়ারুল
- ‘দেশের মানুষ মনে করে হাসিনাকে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন’
- সাবেক মন্ত্রী মায়া ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের দুই মামলা
- ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ
- কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব
- বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
- ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
- চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা
- স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
- রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি