শিরোনাম
শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

গাজীপুর ও বগুড়ায় বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

বন্দুকযুদ্ধে গাজীপুরের উত্তর সালনায় এক অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বগুড়ায় এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

গাজীপুর : গাজীপুর র‌্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত আড়াইটার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় অস্ত্র বেচা-কেনার খবর পেয়ে পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের একটি টহলটিম সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা  র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে অন্য অস্ত্র ব্যবসায়ীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব সদস্য সানাউল্লাহ ও উজ্জ্বল আহত হয়েছেন। তাদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের উপশহর-ধরমপুর সংযোগকারী ধুন্দল ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সুবিল খালপাড়ে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী স্বর্গ (২২) নিহত হয়েছে। নিহত স্বর্গ বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগর এলাকার মৃত লিয়াকতের ছেলে। লিয়াকত ছিল বগুড়া শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। পেশাদার খুনি হিসেবে লিয়াকত পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিল। ২০০৪ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। গতকাল সকালে স্বর্গ নিহত হওয়ার খবর জানাজানি হলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল একটি ম্যাগাজিন এক রাউন্ড গুলি এবং একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ধুন্দল ব্রিজ এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে  গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে উপস্থিত লোকজন তাকে ঠনঠনিয়া শহীদ নগর (খান্দার) এলাকার সন্ত্রাসী স্বর্গ বলে শনাক্ত করেন। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায় নিহত স্বর্গের নামে সদর এবং শাজাহানপুর থানায় খুন, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে সাতটি মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর