নুসরাত হত্যাকান্ডে সরাসরি পাঁচজন জড়িত ছিল। এরা হলেন- শামিম, জোবায়ের, জাবেদ হোসেন, কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা পপি। উম্মে সুলতানা পপি নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে যায়, তার হাত ও পা বাঁধতে সহায়তা করে এবং তার পা চেপে ধরে রাখে। শামীম নুসরাতকে চেপে ধরে রাখে। কামরুন নাহার মনি নুসরাতের বুকে চেপে ধরে রাখে। তারা নুসরাতের কাছ থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের। রবিবার আদালতে জোবায়েরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মো. ইকবাল। পিবিআই মামলার রিমান্ডে থাকা আসামি জোবায়েরকে নিয়ে শনিবার সোনাগাজীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জোবায়েরের দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে সোনাগাজী সরকারি কলেজের কাছে ডাঙ্গিখাল থেকে নুসরাত হত্যাকান্ডে ব্যবহার জোবায়েরের পরিধান করা বোরকাটি উদ্ধার করে। এদিকে এ হত্যামামলায় মোট ২৫ থেকে ২৮ জন সম্পৃক্ত ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে রয়েছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ-উদ-দৌলা, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, সোনাগাজী আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, ইফতেখার হোসেন রানা ও ইমরান হোসেন মামুন। এদের মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন ও সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের। এদিকে নুসরাত হত্যাকান্ডে র প্রতিবাদে বিভিন্নস্থানে মানববন্ধন হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা এ খবর জানান। ফেনীতে নুসরাত হত্যাকান্ডে র প্রতিবাদে মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সকালে শহরের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে মানববন্ধন করে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজিব খগেস দত্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিমল চন্দ্র শীল, হরি লাল চক্রবর্তি, শান্তি রঞ্জন চৌধুরী, সমর কুমার দেবনাথ প্রমুখ। বক্তারা নুসরাত হত্যার পরিকল্পনাকারী খুনি সিরাজ-উদ-দৌলাসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে সংগঠনের ফেনী জেলা শাখা, পৌর শাখা, সদর উপজেলা শাখাসহ জেলার ছয় উপজেলা শাখা অংশগ্রহণ করে। এদিকে বিকালে শহরের একই পয়েন্টে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে ফেনী জেলা শাখা মানববন্ধন করেছে। এ ছাড়াও বরিশাল, নাটোর, নালিতাবাড়ী, কালিয়াকৈর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বাগেরহাট, রাজশাহী বগুড়া ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্নস্থানে নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা