সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের নির্দেশ

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রসূতিদের অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি নীতিমালা করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। নীতিমালা করার পর তা হাই কোর্টে দাখিল করতেও আদেশে বলা হয়েছে। গতকাল জনস্বার্থে দায়ের এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) রিট আবেদনটি দাখিল করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতি দেওয়া এই আদেশে আদালত আগামী ১ মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে নীতিমালাটি করার নির্দেশ দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট। রুলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রসূতিদের অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। আদেশের পর তিনি জানান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়। রিটের শুনানিতে আমি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ও সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য ও মতামত তুলে ধরে বলি, শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন (সিজার) কোনো দেশেই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে এটা প্রায় ৩১ শতাংশ। যেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে সিজারের হার ৩৫ শতাংশ। আর এনজিও হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ৩৯ ভাগ। দেশে সিজারের এই যে একটা এলার্মিং বিষয় সেটাকে থামানোর জন্যই রিটে আদেশ চাওয়া হয়। শুনানির পর আদালত রুলসহ আদেশ দেয়। আদালত তার আদেশে যে নীতিমালার করা নির্দেশ দিয়েছে সেই নীতিমালাটির মূল বিষয় হবে অপ্রয়োজনীয় সিজারের হার কমানো। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে তাদের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম এ রিট করেন।

সর্বশেষ খবর