ফিটনেস সনদ নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ফিটনেস নবায়নে সময় বেঁধে দেওয়ার পর এ-সংক্রান্ত বিআরটিএর প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের পর গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে বিআরটিএর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী, রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। পরে মানিক জানান, ফিটনেসবিহীন যত গাড়ি রাস্তায় চলছে তাদের পেট্রোল স্টেশন থেকে গ্যাস-ফুয়েল সাপ্লাই বন্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত। প্রতিবেদনে বিআরটিএ জানায়, হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে শুধু ৮৯ হাজার ২৬৯টি গাড়ি ফিটনেস নবায়ন করেছে। গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারা দেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দুই মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে আদালতে দাখিল করা বিআরটিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, রাজশাহী বিভাগে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫৬৮, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেট বিভাগে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮টি গাড়ি মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন রয়েছে। গত ২৪ জুন আদালত ঢাকাসহ সারা দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির তথ্য জানতে চেয়েছিল। সে অনুসারে বিআরটিএ হাই কোর্টে প্রতিবেদন দেয়। গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িসংক্রান্ত একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন গত ২৩ মার্চ আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।