মালয়েশিয়ায় বন্ধ শ্রমবাজার দ্রুত খোলার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া। গতকাল কুয়ালালামপুর পার্লামেন্ট ভবনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ, রিক্রুটিং এজেন্সির সম্পৃক্ততার পরিধি, মেডিকেল পরীক্ষা, কর্মীর আর্থ-সামাজিক সুরক্ষা এবং ডাটা শেয়ারিং বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া বিড়ম্বনা কমাতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে মাত্র একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৪-২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভার পর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো পুনরায় শুরু হবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মনীরুস সালেহীন, যুগ্ম সচিব ফজলুল করীম, ডেপুটি কমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং বিএমইটি’র পরিচালক ড. নুরুল ইসলাম। মালয়েশিয়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতু আমির বিন ওমর, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল দাতু কয়া আবুন, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. খাইরুজ্জামান, লেবার ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক দাতু মোহাম্মদ জেফরি জোয়াকিম আসরি, আন্ডার সেক্রেটারি বেটি হাসান, আন্ডার সেক্রেটারি আবদুর রহমান, ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন এবং ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি শাহ বাচিক।
