ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনে সংঘটিত মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার বিভাগীয় তদন্তে তিন অভিযুক্তসহ অনেকেই দোষী হতে পারেন। তিন অভিযুক্ত হলেন ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের লোকোমাস্টার (এলএম) তাছের উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) অপু দে, গার্ড আবদুর রহমান। এরই মধ্যে অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের তদন্ত কমিটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণসহ আরও বিভিন্ন বিষয় উঠে আসছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। উচ্চপর্যায়ের অপর তদন্ত কমিটিও যাচাই-বাছাই করে দ্রুত আজ-কালকের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করবে। তবে কমিটির দায়িত্বশীলরা বলছেন, তদন্ত রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত কারা দোষী, কারা নির্দোষ সেই বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না। তবে অনেকেই দোষী হতে পারেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আজ শুক্রবার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোচের ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ টাকা, ইঞ্জিন ১৭ লাখ টাকা এবং ট্র্যাকসহ বিভিন্নভাবে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। মোট ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। তদন্তে এ ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এরই মধ্যে ১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বসহকারে সুষ্ঠুু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা হবে। রেলওয়ের উচ্চপর্যায়ের গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পূর্ব) মো. নাজমুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটির তদন্ত প্রতিবেদন নিরপেক্ষতার মধ্যে থেকেই দ্রুত সময়ের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এজন্য সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই কাজ করতে হচ্ছে। তাই কাজ শেষ করেই আজ-কালকের (শুক্রবার-শনিবার) মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
