বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদে বসছে ডিজিটাল স্ক্রিন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রচার হবে প্রামাণ্যচিত্র, মুক্তিযু্ন্ডেদ্ধর ডকুমেন্টেশন, বাংলাদেশের খেলা

নিজামুল হক বিপুল

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদে বিশাল আকারের ডিজিটাল স্ক্রিন (পর্দা) বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে এই স্ক্রিন বসানো হবে দৃশ্যমান জায়গায়। স্ক্রিনে মূলত বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত নানান প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টারি, বাংলাদেশের বিভিন্ন খেলাসহ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহকৃত কনটেন্ট বা বিষয়গুলো প্রতিদিন প্রচার করা হবে। জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপ-কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিজিটাল স্ক্রিন বসানোর এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যয়বহুল হওয়ায় আরবান বা শহর এলাকায় বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদগুলোতে এই ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ডিজিটাল স্ক্রিন বসিয়ে তাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া কনটেন্ট প্রতিদিন প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। সেই লক্ষ্যে আগামী ১৭ মার্চের আগেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে সব জেলা, সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভায় স্ক্রিন বসানোর কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় প্রতিটি স্ক্রিনের আয়তন কত হবে, এক একটি স্ক্রিন স্থাপনে কত টাকা ব্যয় হবে- তার হিসাব চেয়ে প্রত্যেক সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা ও পৌরসভায় চিঠি দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে। ওই চিঠির জবাব থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগ নিশ্চিত হয়েছে, দেশের সব জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার বিশাল আকারের ডিজিটাল স্ক্রিন বসানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই। এ অবস্থায় এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব (সিটি করপোরেশন) আ ন ম ফয়জুল হক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ডিজিটাল স্ক্রিন বসানোর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আগের সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগে সব জেলা পরিষদ, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় স্ক্রিন বসানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি হচ্ছে না। তিনি জানান, উপজেলা ও পৌরসভাকে বাদ দিয়ে সিটি করপোরেশনের শুধু আর্থিকভাবে সক্ষম ওয়ার্ডগুলো এবং সক্ষম জেলা পরিষদগুলোয় এই স্ক্রিন বসানো হতে পারে। তবে এ বিষয়ে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সূত্র জানায়, যে ডিজিটাল স্ক্রিনটি বসানোর কথা বলা হচ্ছে সেটি বেশ বড় আকারের এবং এটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী শেষ হওয়ায় পর এসব স্ক্রিন ভিন্ন কাজেও ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার করা, ভাড়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করার কাজেও এসব স্ক্রিন ব্যবহার করা যাবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যেসব সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলো এবং জেলা পরিষদে এই ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হবে সেগুলো বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমআইএফ) এবং কে স্পোর্টস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এই স্ক্রিনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত হবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে এ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এই স্ক্রিন হবে সাড়ে ১৬ ফুট বাই সাড়ে ৮ ফুট। এক একটি স্ক্রিনের দাম পড়বে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা। এসব স্ক্রিনে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।

সর্বশেষ খবর