মধ্যরাতে জুনিয়র-সিনিয়র কোন্দলকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিমেল চাকমাকে রাতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের সামনে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে পেছন থেকে ডাক দেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন। পরে কামাল ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু কামালকে জেবিয়ার পরে দেখা করতে বলেন। পরে কামাল তার বন্ধুদের নিয়ে জিয়া হলে জেবিয়ারের কক্ষে দেখা করতে যান। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করেন কামাল ও তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধান করেন। এদিকে রাত ১১টার দিকে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে কামাল অবস্থান করছেন সংবাদ পেয়ে জেবিয়ার তার বন্ধু ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ ১০-১৫ জন কর্মী নিয়ে সেখানে যান। এ সময় কামাল কক্ষ থেকে বের হলে তারা দরজায় লাথি দেন এবং জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে জিয়া মোড় এলাকায় কামালের গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে জেবিয়ার গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এতে হিমেল চাকমা, জেবিয়ার, রাফসান, রিয়ন, সাব্বির ও রাব্বি আহত হন। পরে ছাত্রলীগ নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমাধান করে দিয়েছি।’