সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের নির্মাণাধীন ফটক ধসে এক শিশুসহ চারজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন-তাড়াশ উপজেলার গাবরগাড়ী গ্রামের মৃত জাহারুল্লার ছেলে তোজাম (৫৫) ও বস্তুল গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (৩০) এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে আসিফ (১২) ও শাহজাদপুর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী খাদেম আলী (৫০)। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, গুল্টায় সাপ্তাহিক হাটের দিন হওয়ায় শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের নির্মাণাধীন ফটকের সামনে লোকজন জড়ো ছিল। বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ ফটক ধসে লোকজনের ওপর পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ চারজন নিহত ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে ওই কলেজের প্রভাষক আবুল বাসার জানিয়েছেন, কলেজ অধ্যক্ষ একক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ফটকটি নির্মাণ করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ফটকটি সঠিকভাবেই নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে কীভাবে কী কারণে ভেঙে পড়ল তা বোধগম্য নয়।স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আবদুল আজিজ ও তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার কারণ উদঘাটনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, খ্রিস্টান মিশন ইটালীয় ফাদারের দুই লক্ষাধিক টাকা অনুদানে কলেজের ফটকটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শুধু প্লাস্টার করা বাদ ছিল।