আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি আশঙ্কার তুলনায় অনেক কম হয়েছে। সরকার দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসন প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছে। গতকাল দুপুরে সংসদ ভবনে তার সরকারি বাসভবনে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগ-পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, বেড়িবাঁধ মেরামতসহ সার্বিক পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঝড়ের আগে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে নিয়ে এসেছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, বেড়িবাঁধ মেরামতসহ সার্বিক পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করছে। আমাদের আজ দুটো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত, পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনীতে মানুষের দোয়া এবং শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বপ্রস্তুতির কারণে এই ঘূর্ণিঝড় থেকে অল্প ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছি। সুন্দরবন সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে বেশ কয়েকটি জেলার ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক না হলেও একেবারে কম হয়নি। সাতক্ষীরা বাগেরহাট পটুয়াখালী, যশোর, হাতিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধে ভাঙন, ফসলহানি এমনকি প্রাণহানিও ঘটেছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আশঙ্কা অনুসারে ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ায় মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জানাচ্ছি।
