শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
সিটিটিসির চার্জশিট

অনলাইনে লেখালেখির কারণেই খুন ব্লগার নাজিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ব্লগার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্র নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যাকান্ডে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এ চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) নাদিয়া ফারজানা। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন ছাত্র নাজিম উদ্দিন সামাদকে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল পুরান  ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারে একরামপুর মোড়ে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা করে। হত্যার পর তারা দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। সূত্র জানায়, এই মামলায় ৯ আসামির চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রশিদ উন নবী, মোজাম্মেল হোসাইন সায়মন, আরাফাত রহমান ও শেখ আবদুল্লাহ। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসাইন সায়মন ও আরাফাত রহমান অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডেরও আসামি। গ্রেফতারকৃতদের সবাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, অনলাইনে লেখালেখির কারণে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পলাতক পাঁচ আসামি হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত), ওয়ালি উল্লাহ ওরফে ওলি, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ এবং আকরাম হোসেন।

ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, নাজিম ধর্মবিরোধী বা ব্লগার ছিলেন না। তবে বিভিন্ন সময়ে মতামত তুলে ধরে ফেসবুকে সক্রিয় থাকতেন। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীও ছিলেন তিনি। সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানান, নাজিম উদ্দিন সামাদকে হত্যার আগে তিন মাস ধরে পরিকল্পনা সাজায় আনসার আল ইসলাম। নাজিমউদ্দীন মেস করে থাকতেন। তাই তাকে বাসায় গিয়ে খুন করা সম্ভব নয় বলে যাওয়া-আসার পথে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি।

সর্বশেষ খবর