বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের ভিসা বিরোধী নির্দেশ বাতিল

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

করোনার অজুহাত এবং আমেরিকানদের স্বার্থ সংরক্ষণের দোহাই দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারিকৃত আরেকটি বিধি ১ ডিসেম্বর বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল জজ জেফরি হোয়াইট। এইচ-১বি ভিসা অর্থাৎ উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার কোটা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, যারা এই ভিসা পাওয়ার যোগ্য হবেন তাদের অনেক বেশি বেতন-ভাতার নির্দেশও জারি করেন ট্রাম্প। এর আগের দিন নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্ট অপর এক রায়ে সীমান্ত অতিক্রমের সময় কিংবা আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের গ্রেফতারের ১০ দিনের মধ্যে অবশ্যই কোর্টে সোপর্দের নির্দেশ দিয়েছে। এটিও ট্রাম্পের অভিবাসন-বিরোধী পদক্ষেপের বিপক্ষে গেছে। কারণ গ্রেফতারের পর মাসের পর মাস ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখার পন্থা অবলম্বন করা হয় ট্রাম্পের আমলে। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল জজের রুলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত এপ্রিলে ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ স্লোগানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জারিকৃত নির্বাহী আদেশ স্থগিত হয়ে গেছে। ওই আদেশের ফলে এইচ-১বি, এইচ-১বিওয়ান এবং ই-থ্রি ভিসার ওপর সব বিধিও বাতিল হয়েছে। ফেডারেল কোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব কারণ প্রদর্শন করা হয়েছে এইচ-১বি ভিসা নীতি সংকুচিত ও কঠোর করতে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী জনমত যাচাই করা হয়নি। এ ছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরসহ বৃহৎ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে পরিচালিত কল-কারখানার জন্য যে ধরনের কর্মকর্তা/প্রকৌশলী দরকার তা যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম রয়েছেন। এর ফলে বিদেশ থেকে নিয়োগের বিকল্প নেই। এমন যুক্তির সমর্থনে প্রয়োজনীয় বিবরণ-প্রশানপত্র সাবমিট করেছিলেন করপোরেশনগুলোর আইনজীবীরা। দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীর অভাবে কীভাবে লোকসানের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে করপোরেশনগুলো, সে তথ্যও সবিস্তারে উপস্থাপন করা হয় আদালতে। আদালতের মন্তব্যে আরও প্রকাশ পেয়েছে যে, করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার অজুহাতও সঠিক নয়। মামলার বাদী ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স’র আইনজীবীরা মাননীয় আদালতে জানান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে কল-কারখানায় উৎপাদন পুরোদমে শুরুর বিকল্প নেই। এ অবস্থায় যদি দক্ষ কর্মীর সংকট অব্যাহত থাকে, তাহলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। এরই মধ্যে তেমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার পরিণতি গোটা জনগোষ্ঠীকে ভোগ করতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর