মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
রাপা প্লাজায় চুরির ১৫ দিন

গ্রেফতার হয়নি কেউ তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর রাপা প্লাজায় টয়লেটের জানালা ভেঙে একটি সোনার দোকানসহ আরও তিনটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনার ১৫ দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে সিসি ক্যামেরা দেখে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মুখোশ পরা থাকায় দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারলেও একজনকে চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। চিহ্নিত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারে ইতিমধ্যে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট অভিযানে নেমেছে। তাকে ধরতে পারলে অন্যদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া তাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি শপিং মলের নিরাপত্তারক্ষীদের মোবাইলের কললিস্ট ধরেও চোরদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির রাপা প্লাজায় মহিলা টয়লেটের গ্রিল কেটে রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্স নামের একটি সোনার দোকান থেকে আনুমানিক ৫০০ ভরি সোনা ও দুটি কাপড়ের দোকানে চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সোনার দোকানের মালিক মহাদেব কর্মকার বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি ধানমন্ডি থানা পুলিশ ছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগ তদন্ত করছে। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চুরির আগে চক্রটি রাপা প্লাজা মার্কেটের সবকিছু খুঁটিনাটি রেকি করেছে। তা না হলে মহিলা বাথরুমের জানালার গ্রিল এবং সিলিং ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করার পথ আবিষ্কার করা সম্ভব নয়। দোকানের সামনে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ছিল তাতেও তারা স্কচটেপ দিয়ে টিস্যু পেপার লাগিয়েছে। মামলার বাদী মহাদেব কর্মকার বলেন, এই মার্কেটে ২০০৫-০৬ সালের দিকে একবার সোনার দোকানে চুরি হয়েছিল। আমার ধারণা মার্কেটের লোকজন জড়িত। চোরদের গ্রেফতার করতে না পারলে এই মার্কেটে আবার চুরি হবে। এ বিষয়ে ডিএমপি রমনা বিভাগের এডিসি আর এম ফয়জুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি। সিসিটিভিতে চুরির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে দেখা গেছে। এদের মধ্যে দুজন মাস্ক পরা এবং একজন মাস্ক ছাড়া ছিল। মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে চোরদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই ভালো ফল পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর