লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর এলাকায় বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় অভিমানে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মেয়ে মরিয়ম বেগম (২২)। গতকাল দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মরিয়মকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পাটগ্রাম পৌরসভার বাস টার্মিনাল এলাকায় বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মরিয়ম বেগম ওই এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে এবং হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্ত্রী থাকার পরও দ্বিতীয় বিয়ে করেন জহুরুল ইসলাম (৫০)। এ কারণে অভিমান করে প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি চলে আসেন মেয়ে মরিয়ম। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বাবা-মেয়ের মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে বাবার সঙ্গে অভিমান করে ঘরে ঢুকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মরিয়ম। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও দগ্ধ হন বাবা জহুরুল ইসলাম। দগ্ধ বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা প্রথমে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়ে মরিয়মকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাবা-মেয়ে দুজনই দগ্ধ হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি।