শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আটকে আছে ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ছয় লেন মহাসড়ক

ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রশাসনিক জটিলতা

রাহাত খান, বরিশাল

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৩৬.৭৪ কিলোমিটার ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ আটকে আছে প্রশাসনিক জটিলতায়। এ প্রকল্পের জন্য ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় ৩০২.৭ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর ডিপিপি অনুমোদন হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি এখনো। তবে সব জটিতলা নিরসন করে ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৩৬.৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বর্তমান   মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য কয়েক বছর আগে উদ্যোগ নেয় সরকার। মহাসড়কটির দুই পাশে সম্প্রসারণ করে ছয় লেন করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর এ প্রকল্প অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। অনুমোদিত প্রকল্পে ফরিদপুর অংশে ৩২.৫০ কিলোমিটার, মাদারীপুর অংশে ৪৫ কিলোমিটার, বরিশাল অংশে ৭৬.৮০ কিলোমিটার এবং পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে ৮২.৪৪ কিলোমিটার সড়ক। বর্তমান মহাসড়কের দুই পাশে প্রশস্ত করে ১১০ ফুট প্রশস্ত ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণের জন্য চার জেলায় মোট ৩০২.৭ একর জমি অধিগ্রহণ করবে সড়ক বিভাগ। এর মধ্যে ফরিদপুরে ৭০.৯০ একর, মাদারীপুরে ৪৫.৬৮ একর, বরিশালে ৯০.৫৮ একর এবং পটুয়াখালী জেলায় মহাসড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হবে ৯৫.৫৪ একর ভূমি। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে জমি অধিগ্রহণের প্রকল্প অনুমোদন হলেও নানা প্রশাসনিক জটিলতায় আজ পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি সরকার। ফরিদপুর ও মাদারীপুরে জমি অধিগ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেলেও পিছিয়ে পড়েছে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা। এখন পর্যন্ত বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার জমি অধিগ্রহণে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বরিশাল জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. হানিফ জানান, বরিশাল জেলায় ৭৬.৮০ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে ৯০.৫৮ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই প্রস্তাবে কিছু ভুল-ত্রুটি থাকায় মন্ত্রণালয় তা ফেরত পাঠিয়েছে। গত মাসে নতুন করে আবারও মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে। এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। একইভাবে পটুয়াখালী জেলায় ৮২.৪৪ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে ৯৫.৫৪ একর ভূমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী মো. হানিফ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, ‘একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে অনেক বাধা-প্রতিবন্ধকতা আসে। সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বর্তমান মহাসড়কের দুই পাশে ৩০২.৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।’

সর্বশেষ খবর