বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

স্কুলছাত্রী ধর্ষণে এএসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাহেনুল ও দুই নারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার পাঁচ মাসের মাথায় এ চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার বাহার কাছনা মাস্টারপাড়ার দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলামসহ কয়েকজন গণধর্ষণ করেছে অভিযোগ এনে মামলা করেন ভিকটিমের পিতা। ঘটনার পরপরই  আসামি রাহেনুল ইসলাম, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা,  সুরভী আক্তার সমাপ্তি, বাবুল হোসেন এবং আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আসামিদের জবানবন্দি ও আলামতসহ  ডিএনএ পরীক্ষায় গণধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, এএসআই রাহেনুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীকে গত বছরের ১৮ অক্টোবর বাহার কাছনার সুমাইয়া পারভীন মেঘলার ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। বাড়িতে ফেরার পর তার মা রাগারাগি করলে ওই স্কুলছাত্রী রাত ১০টার দিকে মেঘলার বাড়িতে চলে যায়। পরে মেঘলা ও তার বান্ধবী সুরভী আক্তার সমাপ্তি যোগসাজশ করে বাবুল ও কালামের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়। পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম তদন্ত শেষে এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা এবং আসামি সুরভী আক্তার সমাপ্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে অপরাধের প্রমাণ পায়। রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছি। চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর