দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন, যা রবিবারের চেয়ে ১০ জন কম। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৩ জন। আর রবিবারে ১ হাজার ৮৭১ জনের শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মোট মারা গেছেন ২৬ হাজার ৯৭২ জন। শনাক্ত হওয়া নতুন ১ হাজার ৯৫৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৩৬৬ জন শনাক্ত হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১১২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৬ হাজার ৫৫টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ৩৮৮টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৯২ লাখ ৭২ হাজার ১২১টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ৫২ হাজার ১৯৪টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৯২৭টি। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন আর নারী ১৬ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৩৮৩ জন আর নারী মারা গেলেন ৯ হাজার ৫৮৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে দুজন। মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে একই সঙ্গে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগে। দুই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৪ জন করে। রাজশাহী বিভাগে মারা গেছেন তিনজন, খুলনা বিভাগে ছয়জন, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে আর ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন দুজন। মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ছয়জন আর বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
