শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জমজমাট ছুটির দিনের শারদীয় সন্ধ্যা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

জমজমাট ছুটির দিনের শারদীয় সন্ধ্যা

আপস্টেজ নাট্যদলের ‘স্বপ্নভুক’ নাটকের একটি দৃশ্য -বাংলাদেশ প্রতিদিন

শরতের ছুটির দিনের সন্ধ্যাটা রঙিন হয়ে উঠেছিল সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারণায়। শিল্পকলা একাডেমির দুই মিলনায়তনে দুইটি ও মহিলা সমিতির মিলনায়তনে একটি নাটকসহ তিনটি নাটক মঞ্চায়নে লকডাউনের পর ফের জমে উঠেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় ঢাকা থিয়েটারের নাটক ‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’ ও একই সময়ে জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় আরণ্যক নাট্যদলের নাটক ‘কহে ফেসবুক’। অন্যদিকে একই সময়ে নাটক সরণিখ্যাত বেইলি রোডের মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আপস্টেজ নাট্যদলের ‘স্বপ্নভুক’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।

অর্থ সহায়তাসহ নানা দাবিতে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশ : এক বছরের জন্য সারা দেশের শিল্পকলা একাডেমির সব মিলনায়তনের ভাড়া মওকুফ করাসহ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে ৫ হাজার টাকার বিশেষ অর্থ সহায়তা প্রদানের দাবিতে পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশের এক দিন আগেই বৃহস্পতিবার হল ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত আসে শিল্পকলা একাডেমি থেকে। যার কারণে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী নাটক মঞ্চায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ঢাকা থিয়েটার ও আরণ্যক নাট্যদল। তবে, বিশেষ অর্থ সহায়তা প্রদানের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ বাতিল করেনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

অধিকার আদায়ের অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার চত্বরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন   নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুশিল্পীরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি কামাল পাশা, সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন কেরামত মওলা, নৃত্যজন আমানুল হক প্রমুখ।

মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্যালারি গ্র্যান্টের কথা বলছি। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের কারণে স্যালারি গ্র্যান্ট এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। দীর্ঘ ৫০ বছর নাটক করার পর আমরা এখন স্যালারি গ্র্যান্ট দাবি করতেই পারি। এটা আমাদের অধিকার। আমরা ভিক্ষা চাই না, অধিকার চাই। আমরা সরকারপ্রধানের কাছে যাব। তা না হলে আমাদের রাজপথ তো রয়েছেই। লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আশা করছি সংস্কৃতিবান্ধব সরকার সংস্কৃতিকর্মীদের সব দাবি মেনে নেবে।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

সর্বশেষ খবর