কাল চতুর্থ ধাপে ৮৩৮ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে। এ নির্বাচন ঘিরে প্রতিদিনই সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে। গতকালও বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ঘটেছে। তৃণমূলের এ ভোটে উৎসব-আমেজের পাশাপাশি উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। এ ধাপে ৮০০ ইউপিতে ব্যালট এবং ৩৮টিতে ইভিএমে ভোট হবে।

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। আজ কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। শুক্রবার মধ্যরাতে এসব এলাকায় প্রচারের সময় শেষ হয়েছে। প্রচার শেষেও গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত-সহিংসতা ঘটেছে। চার ধাপের ইউপি ভোটে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৮৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরও তারা থাকবেন। সেই সঙ্গে মাঠে রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটও। চতুর্থ ধাপের    ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৯৫ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৪৮, সংরক্ষিত সদস্য ১১২ ও সাধারণ সদস্য ১৩৫ জন। এ ধাপের ভোটের লড়াইয়ে আছেন ৪৩ হাজার ৪৩৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৩ হাজার ৮১৪, সংরক্ষিত সদস্য ৯ হাজার ৫১৩ ও সাধারণ সদস্য ৩০ হাজার ১০৬ জন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। ইউপি ভোট কেন্দ্র করে বেশ কিছু এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে এবার। পরিস্থিতি সামলে রাখতে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। পাশাপাশি সব পক্ষের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় প্রথম ধাপে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর, তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হয়। চতুর্থ ধাপে কাল ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৮ ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ৫ জানুয়ারি এবং ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ২১৯ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।