বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
ধর্ষণ মামলা

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে যুবলীগ সভাপতিসহ তিনজনের সাক্ষী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে উপজেলা যুবলীগ সভাপতিসহ তিনজন সাক্ষী দিয়েছেন। এ সময় মামুনুল হক কাঠগড়ায় ছিলেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ধর্ষণ মামলায় তৃতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়।

এদিকে মামুনুল হকের সঙ্গে তার ছোট ভাই মাশরুর হোসেন ও  ছোট বোন সায়মা, ভাগিনা জাবেদসহ পরিবারের অনেকেই সাক্ষাৎ করতে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে এসেছিলেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব বলেন, রয়েল রিসোর্টের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান, আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু সাক্ষী দিয়েছেন। তারা তিনজনই ঘটনার দিনের নানা বিষয় তুলে ধরে সাক্ষী দিয়েছেন। মামুনুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক। সহযোগিতায় ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা। ওমর ফারুক বলেন, প্রথম দফায় সাক্ষী দিয়েছে বাদী। দ্বিতীয় দফায় সাক্ষী দিয়েছে তিনজন। তৃতীয় দফায় সাক্ষী দিয়েছে তিনজন। এনিয়ে এ মামলায় সাতজন সাক্ষী দিয়েছে। সাক্ষীদের আমরা জেরা করেছি।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ক সার্কেল নাজমুল আলম জানান, পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যসহ তিন স্তরের নিরাপত্তায় মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ফের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের  নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর