শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

কার নেতৃত্বে ক্ষমতায় যাবে বিএনপি, সেই নেতা নেই : কাদের

নওগাঁ প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির প্রধান নেতা দন্ডিত আসামি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান পলাতক আসামি। নির্বাচন সামনে। কার নেতৃত্বে ক্ষমতায় যাবে বিএনপি, সেই নেতা নেই।

গতকাল দুপুরে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের নেতা-কর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুঃসময়ের কর্মীদের কোণঠাসা করে বসন্তের কোকিলদের নেতৃত্ব দিলে সংগঠন চলবে না। তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব বিভক্ত। তাদের নিজেদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই। দলে গণতন্ত্র নেই। অথচ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে মুখে ফেনা তুলছে। বাংলাদেশের মানুষ আর বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কারণ মানুষ জানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যাবে। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস হয়ে যাবে। সমস্ত বাংলাদেশ রক্তের নদী হয়ে যাবে। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দুঃসময়ের ত্যাগী নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে দুঃসময়ের কর্মীদের বাঁচাতে হবে। দুঃসময়ের কর্মীদের উপেক্ষা করলে আওয়ামী লীগ টিকতে পারবে না। নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় কে কাকে পছন্দ করে, কার মুখ চেনা এসব দেখলে চলবে না। ত্যাগী নেতা-কর্মীরা যত দিন নেতৃত্বে থাকবে তত দিন কোনো রাজনৈতিক শক্তিই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না। মন্ত্রী আরও বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প আজ প্রশংসিত। বিশ্বের নামিদামি দেশগুলো শেখ হাসিনার সততার, তাঁর পরিশ্রমের, সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এ উন্নয়ন সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি দেশের উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে বিশ্বনেতৃত্বের কাছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে বিএনপি কোনো দিনই এ দেশের মানুষের ভালো চায়নি। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আর কোনো দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। সুতরাং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না তা তাদের বিষয়। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেককে সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মালেক। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শহীদুজ্জমান সরকার এমপি, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন এমপি, ছলিম উদ্দিন তরফতার এমপি, আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর