শিরোনাম
শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

দেখেছেন কার হাতে লাঠি, আসামি অজ্ঞাতনামা কেন

ঢাবির সাবেক ভিসি আনোয়ার উল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর সম্প্রতি ছাত্রলীগের হামলাকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের করা অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা কেন? আপনারা তো দেখেছেন কার হাতে লাঠি। ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রাম দা ছিল। তাহলে আসামি অজ্ঞাতনামা হলো কেন? গ্রেফতার করেছেন ছাত্রদলের ছেলেদের।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। আলোচনা সভার আয়োজন করে ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস। আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী নিজের পদত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কোন উপাচার্যের সময় পুলিশ ঢোকে নাই? কিন্তু কয়জন ভিসি পদত্যাগ করেছেন? এখন ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে। কেউ পদত্যাগ করেছেন?’ তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন সন্ত্রাসীদের একটা জায়গা হয়েছে। সন্ত্রাসী লালন-পালন করা হয়। সেখানে শিক্ষক নিয়োগের নামে ভোটার নিয়োগ করা হয়। নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন কারও নিয়োগ হলে তার বাবা, দাদা বিএনপি করত কি না তা দেখা হয়। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নগ্নভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ধশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে। একজন প্রবীণ শিক্ষক হিসেবে এটা হতাশার। সাবেক এই উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বন্দুক ও বই একসঙ্গে থাকতে পারে না।

সম্প্রতি খালেদা জিয়া ও ড. মুহম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী।

সাবেক উপাচার্য বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কোনো কথাই আওয়ামী লীগের কানে প্রবেশ করে না। তিনি বলেন, ‘আপনারা অনাদিকাল ক্ষমতায় থাকবেন, এটা ভাববেন না। আপনাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। দ্রব্যমূল্যের বাজার এখন অস্থিতিশীল। দেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে। গণআন্দোলন অচিরেই গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে।’ সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন ও খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শাহ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হুমায়ুন কবির ব্যাপারী।

সর্বশেষ খবর