২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানের রুল শুনানির জন্য হাই কোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে রুল শুনানির জন্য মামলাটি কার্যতালিকাভুক্ত হয়।
অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রয়েছে। তবে দুটি মামলাই শুনানি হবে ৫ জুন। ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবালমান্দ বানুর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। রাজধানীর কাফরুল থানায় করা এ মামলায় ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। পরে একই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন এবং এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন তারা। ওই সময় হাই কোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। রুল জারির ১৫ বছর পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল রিট মামলাটি হাই কোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর হাই কোর্ট রুল শুনানির জন্য ২০ এপ্রিল দিন ঠিক করেন। কিন্তু সেদিন তারেক- জোবাইদার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে হাই কোর্ট শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি হাই কোর্টের কার্যতালিকায় আসে। তবে কার্যতালিকায় এলেও মামলাটি ৫ জুন শুনানির দিন ধার্য করা হয়। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ৫ মে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে। পরে শামীম এস্কান্দার মামলা বাতিলে হাই কোর্টে আবেদন করেন। তবে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ এ আবেদনের শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ধার্য রাখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। তবে কার্যতালিকায় এলেও এ মামলাটিও ৫ জুন শুনানি হবে।