এখন থেকে মা-বাবার জন্মসনদ ছাড়াই হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পর দেওয়া ছাড়পত্র বা টিকার কার্ড যে-কোনো একটি প্রমাণ দেখিয়ে শিশুর জন্মনিবন্ধন করা যাবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন)। গতকাল রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মির্জা তারিক হিকমত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সবার জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। ২০২১ সালে একটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছিল যে, যাদের জন্ম ২০০১ সালের পর তাদের বয়স ১৮ না হওয়ায় এনআইডি হয়নি। কাউকে যদি জন্মের পর একটি আইডি দিতে চাই সে ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন অপরিহার্য। স্কুলে এখন ইউনিক আইডির বিষয়টি প্রচার হচ্ছে। সেটি অটোমেটিক হয়ে যেত যদি বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন থাকত এবং সেটি যদি সন্তানের জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে থাকে তাহলে ডিজিটালি সেই সন্তান পরিচিত হয়। এটি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড। এ পর্যন্ত যারা সঠিকভাবে জন্মনিবন্ধন আবেদন দিয়েছেন তাদের প্রায় ৩০ লাখের বেশি ইউনিক আইডি অটোমেটিক্যালি জেনারেট হয়েছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল আরও বলেন, ‘১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের জন্য বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টি আবেদনে বাধ্যতামূলক থাকলেও তা আমরা তুলে দিয়েছি। ১৮ বছরের নিচে যারা তাদের টিকা নিতে হলে হয়তো বাবা-মাসহ তিনটি জন্মনিবন্ধন করা লাগত। এতে জনভোগান্তি হয় বলে মন্ত্রিসভা নির্দেশনার আলোকে এটি আমরা তুলে দিয়েছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।’ উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে জন্মনিবন্ধনের নিয়ম পরিবর্তন করে বলা হয়েছিল, ২০০১ সালের পর জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্মনিবন্ধন করতে হলে তার বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ অবশ্যই প্রয়োজন হবে। ওই সময় জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা।