বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, সহনশীলতা আমাদের মানবীয় গুণাবলির মধ্যে অন্যতম। সমাজে ও রাজনীতিতে ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা আছে। অনেক ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। সেই জন্য ক্যাম্পাসগুলোতে যদি সহনশীলতার চর্চা হয়, শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়, অপরের মতামত ও সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে শিখে, যুক্তির ভিন্নতা, মতের ভিন্নতাকে স্বাগত জানায়, তাহলে কিন্তু আমাদের পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ কমে আসবে। সহনশীলতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অন্যতম শর্ত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব ক্ষেত্রে সহনশীল মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, এটি ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়। আমাদের নানা বর্ণ, মতের সুন্দর সমন্বয়, যার ওপর ভিত্তি করে আমরা মানবতার জন্য কাজ করব, তার মূল ভিত্তি হচ্ছে সহনশীলতা। সহনশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে, আমরা অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকট থেকে মুক্তি পাব। বুয়েটে সৃষ্ট সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ক্ষমতা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার হয়, তাদের স্বাগত জানাই। কিন্তু এটি মনে করার কোনো কারণ নেই যে, ছাত্ররাজনীতি নাকচ করে দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব।
দেশের স্বাধীনতা, মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতি ভূমিকা রেখেছে। সংগঠন বেছে নেওয়া, প্রতিবাদ করা, সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। সেই সঙ্গে ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাস জীবনের একটি অংশ। বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনার প্রভাব যেন সার্বিক ছাত্ররাজনীতির ওপর না পড়ে, আমরা যেন ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতির চেষ্টা করি, তাই আমাদের আহ্বান থাকবে।