শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নড়াইলে ৪০ বছরের পুরনো বাউল আশ্রমে হামলা

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাজে-বাবরা গ্রামের বাউল হারেজ ফকিরের ৪০ বছরের পুরনো আখড়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হারেজ ফকির বুধবার রাতে থানায় জিডি করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জিডি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীদের অন্যতম মিন্টু শেখ গতকাল আখড়ায় এসে বাউল ও তাঁর ভক্তদের হুমকি দিয়েছেন।

জানা যায়, এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে আস্তানায় হামলা চালানো হয়। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে পুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মণির স্বজন ও সমর্থকরা গাঁজা সেবন ও বিক্রির অভিযোগ এনে হারেজ ফকিরকে বারইপাড়া বাসস্ট্যান্ডে মারধর ও গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় হারেজ ফকির চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলে ওই দিন সন্ধ্যার পর চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে এক গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যানের বড় ভাই কালিয়া উপজেলা জামায়াতের রোকন হাজি মো. আলী মিয়া শেখের হুকুমে চাচাতো ভাই মিন্টু শেখের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল হারেজ ফকিরের আখড়ায় হামলা চালায়। তারা একটি হারমোনিয়াম, দুটি একতারা, দুটি চাকি, একটি পেনজুড়, দুটি খোল, একটি নাল, একটি তবলাসহ মোমের মমি ভাঙচুর করে। মিন্টু শেখ ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কোনো কিছুই ভাঙচুর করিনি। হারেজ ফকির মূলত গাঁজা ব্যবসায়ী, কোনো বাউল ফকির না।’ মো. আলী মিয়া শেখ বলেন, ‘হারেজ ফকির প্রকৃতপক্ষে একজন মাদকসেবী ও বিক্রেতা। সে উঠতি বয়সীদের মাদক সেবনে সহায়তা করায় কে বা কারা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’ তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে এখন সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসমীম আলম বলেন, ‘হারেজ ফকিরের আখড়ায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে তবে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে।’

 

সর্বশেষ খবর