সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
জেলা পরিষদ নির্বাচন

ভোটের দায়িত্ব থেকে সরানো হলো চট্টগ্রামের ডিসিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার পরিবর্তে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দিয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার পর মোনাজাতে অংশ নিয়ে বক্তৃতা দিয়ে সমালোচনায় থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন। এজন্য তদন্ত হতে হবে। এটা লঘু শাস্তি নয়। এই মুহূর্তে করণীয় একটাই, তাকে সরিয়ে দেওয়া। জেলা পরিষদের ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ডিসির পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনার রাশেদা সুলতানা। পরে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে বলে জানান তিনি।

জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, বিদ্রোহী যারা আসছেন তারা একই দলেরই। দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদ নির্বাচন নেই। তারপর প্রশাসক এলো। এ অবস্থায় তো চলা যায় না। প্রশাসক আর নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য আছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলার পর আমরা নির্বাচন দিলাম। আমাদের কাজ শুধু নির্বাচনটা নামানো। তাই দলীয়ভাবে হচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। একজন দাঁড়াচ্ছেন, আরেকজন দাঁড়াচ্ছেন না। কাজেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা বেআইনি নয়। আবার নির্বাচনে কেউ অংশ নিতে পারবেন না, এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা তো নয়। আমরা চাচ্ছি সবাই নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কেউ যদি না আসে, কেমন করে তাদের আমরা আনব। এই কমিশনার বলেন, দেশে অনেক ঘটনাই ঘটছে, তা কারোই আকাক্সিক্ষত নয়। ছোটবেলায় আমরা দেখেছি স্থানীয় নির্বাচন দলীয় নয়। কিন্তু অলিখিতভাবে অনেক কিছু হয়ে যায়। এটা বন্ধ করা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোরই কাজ। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে এখন আমরা নির্দ্বিধায় আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এগুলো কিন্তু আমরা আমলে নেব না। ইতিপূর্বেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর