শিরোনাম
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ

দমন-পীড়ন করে শেষরক্ষা হবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। সারা দেশে হত্যা, হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে এবং সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ হবে। গতকাল রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, আন্দোলন দমনের এই ঘৃণ্য ও নোংরা পদ্ধতি সরকারের চরিত্রকেই পুনর্বার উন্মোচিত করেছে। এসব হত্যা, হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন করে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নূর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া সভায় গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, জেএসডির কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দালনের হাবিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের কবির হাসান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আনসার আলী দুলাল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহিবুল্লাহ বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী এই ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশব্যাপী বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর বেপরোয়াভাবে হত্যা, দমন-পীড়ন ও হামলা-মামলার যে নগ্ন তৎপরতা শুরু করেছে, তা তাদের উন্মত্ত ক্ষমতাকেই প্রকাশ করছে। সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলা এবং বিএনপি কর্মী শাওনকে গুলি করে হত্যা রাজনৈতিক দমন-পীড়নের ইতিহাসে এক নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের নগ্ন হুমকি এই হত্যাযজ্ঞ ও হামলায় সরাসরি প্ররোচনা জোগাচ্ছে। অবিলম্বে এসব হামলা বন্ধ করে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। এ ছাড়া সভায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রীতম দাশের মুক্তি দাবি করে বলেন, সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রীতম দাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে এখন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করার পাঁয়তারা করছে সরকার। সভায় অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করা হয়।

সর্বশেষ খবর