রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

অপরিকল্পিত নগরায়ণে দূষণ

- ড. নাজমুন নাহার

অপরিকল্পিত নগরায়ণে দূষণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার বলেছেন, শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বায়ুদূষণ বাড়ে। আর আবহাওয়ার শুষ্ক হওয়ার পেছনে মোটা দাগে দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ। এর সঙ্গেই বায়ুদূষণের অন্যান্য কারণগুলো সম্পর্কিত। যেমন- অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ, সবুজ ধ্বংস করে নগর এলাকা বৃদ্ধি, জলাশয় ভরাট, শহরের মধ্যে কলকারখানা ও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি ও যানজট।

তিনি বলেন, বায়ুদূষণ রোধে আইন আছে। নির্মাণকাজ, পরিকল্পিত নগরায়ণ সবকিছুর জন্য আইন ও বিধি আছে। কিন্তু আমরা সবাই যেমন আইন মানি না, তেমন আইনের প্রয়োগও নেই। মূল সড়ক দখল করে ইট, বালু রাখা হচ্ছে। দেখার কেউ নেই। ঢাকায় প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে। সেই মানুষের চাহিদা পূরণে নগর এলাকা বাড়ানো হচ্ছে। গাছপালা কেটে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠলে দেখা যায় চারদিকে শুধুই নির্মাণকাজ। শহরের মধ্যেই কলকারখানা বাড়ছে। এগুলো বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। যানজটের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির স্টার্ট চালু থাকছে। অনেক গাড়িতে ভয়াবহ কালো ধোঁয়া দেখি। এগুলো বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। মেট্রোরেলের কাজ শুরু হলে মিরপুর এলাকায় নিঃশ্বাস নেওয়া যেত না। নিচের অংশের কাজ শেষ হওয়ায় এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। তবে ঢাকার অনেক এলাকায় গেলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অথচ, শহরের মধ্যেই বিভিন্ন পার্কে গেলে দেখা যায় বাতাস অনেক হালকা ও ঠান্ডা। কারণ সেখানে সবুজ আছে। জলাশয় আছে। সেখানকার বাতাস অতটা শুষ্ক নয়।

ড. নাজমুন নাহার বলেন, হাসপাতালে এখন প্রচুর অ্যাজমা রোগী। এই রোগের প্রধান কারণ বায়ুদূষণ। স্কুলের বাচ্চাদেরও এখন ইনহেলার নিতে হয়। ফুসফুসের খারাপ অবস্থার কারণে আমরা এখন পাঁচ তলা ভবনে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারি না। কষ্ট হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর