শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নেই

----- নূরুল ইসলাম ওমর

জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নেই

বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব, সাবেক এমপি ও বিরোধীদলীয় হুইপ নূরুল ইসলাম ওমর বলেছেন, দলের ভিতরে কোনো বিভক্তি নেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের চাঙা করার চেষ্টা চলছে। তারা বগুড়ার আসনগুলোতে দলের জয়ের জন্য এখন থেকেই কাজ করে           যাচ্ছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। নূরুল ইসলাম ওমর বলেন, একসময় আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের মধ্যে কিছু মতবিরোধ ছিল। সেটি এখন আর নেই। তা কাটিয়ে জেলার ১২টি উপজেলা জাপার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে সম্মেলন করবে। উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন শেষ হলে জেলা জাপার সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জাপার এই কমিটি গঠিত হবে, যেন নির্বাচনে জেলা জাপা ভূমিকা রাখতে পারে। মহাজোট থেকে কয়টি আসন বগুড়ায় জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে সাতটি আসনেই জাপার প্রার্থী চাওয়া হবে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে চারটিতে জয়লাভ করেন জাপার প্রার্থীরা। এরপর দলের অবস্থা আরও ভালো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়ে ওঠেনি। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে জাপা দুটি আসন পেয়েছে। কিন্তু আগের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারছে না। বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন হয়েছে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল। ওই সম্মেলনের পর জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও আজ অবধি হয়নি। চেষ্টা করেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যায়নি। আবারও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী দল গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই শক্তিশালী সংগঠন নিয়েই আগামী নির্বাচনে মাঠে নামতে চায় বগুড়ার জাতীয় পার্টি। এদিকে ’৯০ সালের পর থেকে সারা দেশেই জাতীয় পার্টির অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। ক্ষমতাসীন দল থেকে বাদ পড়লে যা হয় ঠিক তেমন অবস্থা হয়েছিল জাতীয় পার্টির। বগুড়াতেও সেই হাওয়া লেগে পালাবদল হয়ে যায় জেলা জাতীয় পার্টির। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা জাতীয় পার্টির দিনকাল খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। দিন দিন কর্মী কমে যাচ্ছে। জেলা কার্যালয় খোলা হলেও কর্মী সংখ্যা একেবারেই কম। দশম সংসদ নির্বাচনে এখানে চারজন এমপি নিয়েও জাপা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি। আর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে এসে সাতটি আসনের মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জয় পায় মহাজোটের শরিক দল জাপা। জাতীয় পার্টির কর্মীরা বলছেন, জাপা থেকে এমপি হয়ে তারা নিজেদের মতো করে ভাবতে থাকেন, যে কারণে দলের অবস্থান ক্ষয়ে যায়। দলের কয়েকজন নেতার কারণে গ্রুপিং আছে। এ কারণে কর্মীদের কেউ কেউ বলেন, বগুড়ায় জাপার মধ্যে বিভক্তি আছে। দলের কর্মীদের মূল্যায়ন না করা, সাংগঠনিক কর্মসূচি ভালোভাবে পালন না করা, দলে কর্মী সংগ্রহে কোনো কর্মসূচি না থাকায় জাতীয় পার্টি আর জৌলুশ ফিরে পাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর