শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
উত্তরায় অবৈধ বার

ওয়েটার থেকে শত কোটি টাকার মালিক মুক্তার

যুক্তরাষ্ট্রে আছে বাড়ি-গাড়ি, অভিযানের পর পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ১৪ বছর আগে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন মো. মুক্তার হোসেন। এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক। যুক্তরাষ্ট্রে আছে বাড়ি ও গাড়ি। সেখানে থাকেন স্ত্রী ও সন্তানরা। তিনি অবৈধ বার ও নিষিদ্ধ বিদেশি মদের ব্যবসা করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক বনে গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও বারে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। এরপরই মুক্তারের বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসে। তিনি ওই বারটির মালিক। তবে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি ডিবি।

মুক্তার হোসেন পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। অভিযানে ওই বার থেকে ৬ হাজার ৫ ক্যান বিয়ার এবং ৪৫৮ বোতল নিষিদ্ধ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়। ওই বারে প্রতিদিন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাতায়াত ছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের দিকে রাজধানীর বারিধারায় এভিনিউ নামে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ শুরু করেন মুক্তার হোসেন। এরপর গুলশানে লেক ভিউ রেস্টুরেন্টেও ওয়েটার হিসেবে ছিলেন। সেই মুক্তার এখন শত কোটি টাকার মালিক। উত্তরা ছাড়াও মিরপুর, গুলশান ও নারায়ণগঞ্জে তার অন্তত পাঁচটি বার রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার সেক্টর-১৩ এর গরীবে নেওয়াজ এভিনিউয়ের ৩৯ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি। ওই ভবনেই ‘কিংফিশার রেস্টুরেন্ট’ নাম দিয়ে বার চালাতেন মুক্তার।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে ভবনের সাত তলায় গিয়ে ডিবির দল অনেক ছেলে-মেয়েকে দৌড়াদৌড়ি করা দেখতে পায়। পরে ভিতরে গিয়ে দেখে সেখানে প্রচুর নিষিদ্ধ বিদেশি মদ ও বিয়ার। ডিবির দল ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় গিয়ে একই অবস্থা দেখতে পায়। অভিযানে প্রচুর দামি নিষিদ্ধ বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়া যায়। তবে এগুলো কীভাবে দেশে আনা এ বিষয়ে কোনো তথ্যই জানাতে পারেনি বার কর্তৃপক্ষ। কাগজপত্র দেখতে ডিবি পুলিশ বাড়িটিতে রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। তারপরও তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপর বার থেকে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর