শিরোনাম
শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলে দুর্ভোগ থাকবে না

--------- নূর আজিজুর রহমান , প্রধান প্রকৌশলী, সিসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলে দুর্ভোগ থাকবে না

একের পর এক সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। রাস্তার উভয় পাশে হচ্ছে নতুন ড্রেন। তারের জঞ্জালমুক্ত হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন সড়ক। দেশের প্রথম ডিজিটাল নগরীর তকমাও লেগেছে সিলেটের গায়ে। সাম্প্রতিক কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে অনেকে সিলেট নগরীকে লন্ডনের সঙ্গেও তুলনা করছেন। কিন্তু এসব উন্নয়নের গুণকীর্তন ছাপিয়ে এখন নগরবাসীর মুখে অপরিকল্পিত উন্নয়নের ক্ষোভ। হাজার কোটি টাকা খরচ করেও কেন মিটছে না জলাবদ্ধতার দুঃখ, কিংবা উন্নয়নের নামে বছরজুড়ে কেন খোঁড়াখুঁড়ি- এমন বহু প্রশ্নে বিদ্ধ হতে হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের। তবে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে দুর্ভোগ অনেক কমে আসবে বলে মনে করেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান। অপরিকল্পিতভাবে সিলেট নগরীর উন্নয়ন হচ্ছে এমন অভিযোগ অনেকে করলেও সুনির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না বলে মন্তব্য নূর আজিজের। তিনি বলেন, ‘যখনই কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় তখন কিছু সিস্টেম ফলো করতে হয়। প্রথমে আমরা প্রকল্প তৈরি করি, তারপর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। সেখানে প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরও প্রকল্প চূড়ান্ত ও অর্থ বরাদ্দ পর্যন্ত কয়েক ধাপ পেরোতে হয়। অপরিকল্পিতভাবে কোনো প্রকল্প নেওয়া হলে সেটি পাসই হতো না। অনেকে না বুঝে সমালোচনা করছেন। এটা ঠিক নয়।’ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও নগরবাসী কেন জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না- এমন প্রশ্নে নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘২০২০ সালে ৩১ কিলোমিটার ড্রেন ও খালের উভয় পাশে দেয়াল নির্মাণে ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে নগরীতে ৪২৭ কিলোমিটার ড্রেন পুনর্নির্মাণ এবং ছড়া-খাল উদ্ধার ও সংস্কারে ৫২৭ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখনো সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজের কাজ চলছে। তাই বিভিন্ন স্থানে ড্রেনের মুখ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ঠিকাদাররা ড্রেনের মধ্যে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখেন। যে কারণে অতিবৃষ্টি হলে পানি নামতে সময় বেশি লাগে। ফলে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ড্রেনের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে স্থায়ী মুক্তি পাবেন নগরবাসী।’

সর্বশেষ খবর