বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

মধ্যরাতে পালাল আসামি সকালে মিলল লাশ!

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

সাভারে আশুলিয়া থানার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামি ধরতে মধ্য রাতে তার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। পালিয়ে যাওয়ায় তাকে না পেয়ে পাশের বাসা থেকে পুলিশ একই মামলার আরেক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে সকালে বাড়ির পাশেই মিলেছে রাতে ‘পালিয়ে যাওয়া’ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির লাশ।

জানা গেছে, আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় হাজী আম্বিয়া কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ-সংলগ্ন আসামি সুলতান বেপারীর বাড়িতে মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ভোরে বাড়ির পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পুলিশ বলছে, অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার। এদিকে বাড়ির পাশ থেকে  লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে চাননি সুলতানের ছোট ভাই রোমান বেপারী।

 এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ রাতে কয়েকবার গাড়ি নিয়ে অভিযান চালায়। লোকমান নামে এক প্রতিবেশী বলেন, সুলতান বেপারী ও সম্পর্কে চাচা মিয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে ইটভাটা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন সেটি বন্ধ করে দিলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুলতানসহ তার ব্যবসায়িক অংশীদাররা। এ নিয়ে টাকা-পয়সা লেনদেন-সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। মামলায় মঙ্গলবার মধ্য রাতে পুলিশ সুলতানকে ধরতে এসেছিল। এ সময় তিনতলা বাড়িতে পুলিশ ঢুকতে চাইলেও মূল ফটক খোলেনি সুলতানের পরিবার। এরপর দ্বিতীয় তলায় সুলতানের ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারলেও তাকে পায়নি পুলিশ। এ সময় একই মামলায় সুলতানের চাচা মিয়াজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের বাসা পাশাপাশি। পরে ভোরে বাড়ির পাশে সুলতানকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারকে জানান। তার মাথায় রক্তাক্ত জখম ছিল।

এ বিষয়ে ওয়ারেন্ট তামিলকারী আশুলিয়া থানার এসআই হাচিব সিকদার বলেন, রাতে আমরা গিয়েছিলাম ওয়ারেন্টের আসামি সুলতান বেপারীকে ধরতে। বাসায় ঢুকে আমরা আসামিকে পাইনি। সকালে শুনলাম পাশের বাড়িতে তার লাশ। ছাদ দিয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ওই সময় শুনলে তো আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতাম। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, কোনো সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি আছে কি না সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর